‘মহালয়া’ মানেই যে পুজো শুরু তা কিন্তু নয়। এর বেশ কিছু মাহাত্ম্যও আছে। এর অনেকগুলি অনেকেই হয়ত জানেন না।
সনাতন ধর্ম মতে এই সময়ে অর্থাৎ এই কৃষ্ণপক্ষকালে যমলোক বা পিতৃলোক থেকে পূর্বপুরুষদের প্রেত মর্ত্যলোকে বসবাস করে নিজের পরিজনদের সঙ্গে। এর পর তাঁরা আবার পিতৃলোকে ফিরে যান। এই সময়ে প্রয়াত পরিজনদের আত্মার যে সমাবেশ ঘটে তাকে বলা হয় মহান লয়। সেই শব্দ থেকেই এসেছে ‘মহালয়’ শব্দটি। এ ছাড়াও হিন্দুধর্ম মতে, এই বিশেষ পক্ষ পিত্রুপক্ষ, ষোলা শ্রাদ্ধ, কানাগাত, জিতিয়া, মহালয়া পক্ষ ও অপরপক্ষ নামেও পরিচিত।
দেবী শক্তি আদিশক্তি। তিনি মঙ্গলদায়িনী করুণাময়ী। সাধক সাধনা করে সেই দেবীর বর লাভের জন্য। দেবীর মহান আলয়ে প্রবেশ করার সুযোগ করে নেন। তাই এই কারণেও দিনটিকে বলা হয় মহালয়া। মহালয়ার পর প্রতিপদ তিথি থেকে দেবী বন্দনা শুরু হয়। কোনো কোনো অঞ্চলে দেবীর আরাধনা প্রতিপদ থেকে শুরু হয়। একে বলে দেবীপক্ষ। শেষ হয় পিতৃপক্ষ।
রামায়ণ অনুযায়ী লঙ্কাবিজয় ও সীতা উদ্ধারের জন্য অকালবোধনের আগে এই অমাবস্যা তিথিতেই পিতৃপুরুষ ও মাতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করেছিলেন রাম। মহাভারত অনুসারে এই দিনে কর্ণ পিতৃমাতৃ পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে জলঅন্ন দান করেছিলেন, তা-ও আবার নিজের মৃত্যুর পর স্বর্গ থেকে মর্ত্যে ফিরে এসে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।